ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ফর্সা হওয়া যায় জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ফর্সা হওয়া যায় এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য আপনার জানা আছে কি? যদি না জানা থাকে ও জানতে আগ্রহী হন, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আমরা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ফর্সা হওয়া যায় কিনা তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ফর্সা হওয়া যায়
এছাড়াও ভিটামিন ই খেলে কি হয়, ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো এ সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করবো।

কনটেন্ট সূচিপত্র: ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ফর্সা হওয়া যায়

ভূমিকা

ভিটামিন ই হলো একটি Fat-Soluble ভিটামিন। Fat-soluble ভিটামিন গুলো: (ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে) ফ্যাট বা তেলে দ্রবীভূত হয়ে বা ভেঙ্গে দেহে শোষিত হয় বা কাজে লাগে। ভিটামিন ই হলো একধরনের শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বকের স্বাস্থ্য ও রক্তনালী ভালো রাখে । ভিটামিন ই প্রাকৃতিক ভাবেই বিভিন্ন খাদ্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমেও ভিটামিন ই গ্রহণ করা সম্ভব।

ভিটামিন ই খেলে কি হয়

ভিটামিন ই দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন ই এর প্রচুর স্বাস্থ্য রয়েছে। ভিটামিন ই খেলে কি হয় বা ভিটামিন ই এর উপকারিতা গুলো দেওয়া হলো:

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়- স্বাস্থ্যবিদরা গবেষণা করে দেখেছেন, ভিটামিন ই খাবার ও সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে গ্রহণ করলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য হারে কমতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা Low-Density Lipoproteins (LDL) ও ট্রাইগ্লিসারাইড এর পরিমাণ কমায়, যার কারণেই মূলত হৃদরোগ হয়ে থাকে।
লিভার ভালো রাখে- ভিটামিন ই লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ই গ্রহণের ফলে ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ফ্যাটি লিভার হলো একধরনের রোগ যার কারণে লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বি জমা হতে থাকে এবং লিভারের কার্যকারিতা কমে যায়।

পিরিয়ড বা মাসিকের ব্যথা কমায়- পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই গ্রহণ করলে এটি মেয়েদের ডিসমেনোরিয়া রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে। ডিসমেনোরিয়া রোগের ফলে পিরিয়ড বা মাসিকের সময় মেয়েদের তলপেটে তীব্র ব্যথা অনুভব হয়।

কোষের ক্ষতি হ্রাস করে- ভিটামিন ই কোষ বা টিস্যুর ক্ষতিসাধন হওয়া থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন ই অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের ফলে দেহে অত্যাবশ্যকীয় এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্রি রেডিক্যাল এর মধ্যে ভারসাম্য থাকে না, যার কারণে কোষ বা টিস্যুর মারাত্নক ক্ষতি হয়। এছাড়াও এর ফলে ব্লাডার বা মূত্রাশয়ের ক্যান্সার দেখা দেয়।

ত্বক ভালো রাখে- ভিটামিন ই ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে। ভিটামিন ই গ্রহণ করলে ত্বকের সংক্রামক রোগ- Dermatitis বা একজিমা হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। ত্বকে একজিমা দেখা দিলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় ও ত্বকে চুলকানি হয়।
ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে- গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন ই গ্রহণের ফলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। এটি বাচ্চা ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের শ্বাসকষ্টের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।

ভিটামিন ই এর উৎস

ভিটামিন ই প্রাকৃতিক ভাবেই বিভিন্ন খাবারে পাওয়া যায়। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:
  • শাকসবজি- সবুজ ও উজ্জ্বল রঙ এর শাকসবজি। যেমন: ফুলকপি, পালং শাক, ব্রকলি, শতমূলী, স্কোয়াশ, বীট শাক।
  • বাদাম- কাঠ বাদাম, চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, কাজু বাদাম, আখরোট।
  • রান্নার তেল- সূর্যমুখী তেল, বাদাম তেল, ক্যানোলা তেল, আঙ্গুর বীজ তেল, পাম তেল।
  • ফলমূল- আম, ব্ল্যাকবেরি, র‌্যাস্পবেরি, জাম, জলপাই, কিউই, অ্যাভোকাডো, এপ্রিকট ইত্যাদি।
  • মাংস- হাঁসের মাংস।
  • সামুদ্রিক মাছ- স্যালমন, ট্রাউট, চিংড়ি।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো

ভিটামিন ই হলো একধরনের অত্যাবশ্যকীয় এন্টিঅক্সিডেন্ট। এটি আমাদের দেহের টিস্যু ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, যেমন: চোখ, ত্বক, মস্তিষ্ক, রক্তকণিকা রক্ষা করে। যেকোন ভিটামিনের চাহিদা খাবারের মাধ্যমে পূরণ না হলে সেক্ষেত্রে ডাক্তার সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়ে থাকেন। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও জেনেরিক নামের ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়। নিচে বহুল পরিচিত ১০ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর নাম দেওয়া হলো:
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো
  • E- Cap 400 IU (Drug International Ltd.)
  • E- Gel DS 400 IU (Renata Limited)
  • Ecovit 400 mg (Globe Pharmaceuticals Ltd.)
  • E- Soft 400 IU (Pacific Pharmaceuticals Ltd.)
  • E- Gold 400 IU (Rangs Pharmaceuticals Ltd.)
  • E- fill 400 mg (General Pharmaceuticals Ltd.)
  • Inovit E 400 mg (Incepta Pharmaceuticals Ltd.)
  • Evit 400 mg (Square Pharmaceuticals PLC)
  • Evitacap 400 mg (Ziska Pharmaceuticals Ltd.)
  • Lilfil- E 400 mg (ACME Laboratories Ltd.)
সতর্কতা: অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করবেন।

ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ই ক্যাপ হলো বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিটামিন ই ক্যাপসুল। ই ক্যাপ ভিটামিন ক্যাপসুলের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। ই ক্যাপ এর উপকারিতা গুলো নিচে দেওয়া হলো:
  • ই ক্যাপে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষ বা টিস্যুর ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে।
  • ই ক্যাপ চুল ও ত্বক ভালো রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকারী। এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে ও মাথার স্ক্যাল্প বা ত্বকে পুষ্টি যোগায়।
  • ই ক্যাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে এটি রক্তের বিটা থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিটা থ্যালাসেমিয়া হলো একধরনের রক্তের ব্যাধি যার কারণে রক্তে হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিনের অভাব দেখা দেয়। হিমোগ্লোবিন রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং এর কারণেই রক্ত লাল হয়।
  • ই ক্যাপ অলজাইমার রোগের উপসর্গ গুলো কমাতেও সাহায্য করে। এটি একধরনের বার্ধক্যজনিত রোগ যার ফলে কোনো ব্যক্তির স্মৃতিশক্তি বা কোনো কিছু মনে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। ডাক্তারদের পরিভাষায় এটিকে short- term memory loss বলা হয়।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল বা ই ক্যাপ গ্রহণ করলে এটি ব্যায়ামের সময় মাংসপেশী ক্ষয় হওয়ার পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে।
অপকারিতা
নির্দেশিত মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন ই গ্রহণ করলে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন যাবৎ ভিটামিন ই সেবন করলেও বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। ভিটামিন ই বেশি মাত্রায় গ্রহণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো:
  • ডায়রিয়া।
  • বমি বমি ভাব।
  • মাথা ব্যথা ও ক্লান্তিভাব।
  • চোখে ঝাপসা বা অস্পষ্ট দেখা ইত্যাদি।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়

অন্যান্য ভিটামিনের মতো ভিটামিন ই ক্যাপসুল বেশি পরিমাণে খেলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল বেশি পরিমাণে খেলে কি ক্ষতি হয় তা দেওয়া হলো:
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়
  • অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন ই গ্রহণ করলে রক্তের ঘনত্ব পাতলা হয়ে যায়। যার ফলে যেকোন ক্ষতস্থান থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হয় ও রক্ত সহজে জমাট বাধে না।
  • ভিটামিন ই অত্যাধিক মাত্রায় গ্রহণ করলে এটি Hemorrhagic Stroke এর ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। Hemorrhagic Stroke হলো একধরনের প্রাণঘাতী রোগ যার ফলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে অতিরিক্ত রক্তপাত হয়।
  • একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত ভিটামিন ই গ্রহণের ফলে মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তবে এই গবেষণাটি এখনো সম্পূর্ণ স্বীকৃতি পায়নি।
  • ভিটামিন ই অন্যান্য ঔষধের সাথে মিলিত হয়ে দেহে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যারা কোমেথেরাপি গ্রহণ করেন এবং ঔষধ খেয়ে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই গ্রহণ করা একদম ই উচিত নয়।
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণ করলে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি দেখা দিতে পারে। যেমন: ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা বা গলা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।
  • ভিটামিন ই বেশি গ্রহণের সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি ও ডায়রিয়া।
সতর্কতা: ভিটামিন ই গ্রহণ করে যদি উল্লেখিত পাশ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ফর্সা হওয়া যায়

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ফর্সা হওয়া যায় এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন। বিশেষ করে মেয়েরা এই টপিক টি নিয়ে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেন। বর্তমানে বেশিরভাগ কোম্পানি গুলো তাদের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট, যেমন: তেল, ময়েশ্চারাইজার, সিরাম, সানস্ক্রিন এ ভিটামিন ই যুক্ত করে দাবি করেন এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

কিন্তু ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ফর্সা হওয়া যায় এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ নেই। আমাদের ত্বকের এপিডার্মিস ও ডার্মিস স্তরে ভিটামিন ই সঞ্চিত অবস্থায় থাকে। ত্বকের ডার্মিস স্তরে সেবেসিয়াস গ্রন্থি বা sebaceous glands থেকে সিবাম উৎপন্ন হয়। মূলত সিবামের মাধ্যমেই ভিটামিন ই ত্বকে পরিবহণ হয়।

সিবাম ত্বকের Moisture বা আদ্রতা, নমনীয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও সিবাম সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এই বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতেই সাধারণত বলা হয়, ভিটামিন ই ত্বকের জন্য উপকারী। সুতরাং, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ফর্সা হওয়া যায়? এটির সঠিক উত্তর হলো ত্বক ফর্সা করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেমন কোনো বড় ভূমিকা নেই।

তবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহণ করলে ত্বকের প্রদাহ কমে যায়, ত্বকের আদ্রতা ও নমনীয়তা বজায় থাকে যার কারণে ত্বকের প্রাকৃতিক রং ফুটে উঠে। এছাড়াও ভিটামিন ই ত্বকের বলিরেখা ও ক্ষতের দাগ কমাতেও অত্যন্ত কার্যকারী।
Source: MedEx, Healthline, Medical News Today.

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আশা করছি আপনি ভিটামিন ই এর উৎস, ভিটামিন ই খেলে কি হয়, ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো, ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ফর্সা হওয়া যায় এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন ও উপকৃত হয়েছেন। যদি আপনার এই ধরনের বিশ্বস্ত ও তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে ভালো লাগে, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন।

কারণ আমরা এই ধরনের আর্টিকেল নিয়মিত প্রকাশ করে থাকি। আপনার কোন পরামর্শ বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার প্রিয়জন ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url