সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার সেরা ১০ টি উপায়
প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। আপনি কি সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
সম্পর্কে জানেন? যদি না জেনে থাকেন ও জানতে আগ্রহী হন, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার
জন্য। এই আর্টিকেলে আমরা সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
জানার চেষ্টা করবো। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ করছি।
এছাড়াও মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ, দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো।
কনটেন্ট সূচিপত্র: সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
ভূমিকা
ব্রণ হলো ত্বকের একটি সংক্রমণ যার কারণে ত্বকে পিম্পল, দাগ ও প্রদাহের সৃষ্টি হয়।
এটিকে ত্বক বিশেষজ্ঞ বা Dermatologist দের ভাষায় Acne Vulgaris ও বলা হয়। ত্বকে
ব্রণ হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। গবেষকদের মতে, বিশ্বব্যাপি প্রায় ৯ শতাংশ
মানুষ ব্রণের সমস্যায় ভুগছে। সাধারণত আমাদের মুখে ব্রণের সংক্রমণ বেশি দেখা
দেয়।
এছাড়াও গলা, বুকে, পিঠে ও কাঁধেও ব্রণ দেখা দিতে পারে। ব্রণের সমস্যা সাধারণত
বয়ঃসন্ধিকালে বা কিশোর ও তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মাঝে বেশি দেখা দেয়। কিন্তু যেকোন
বয়সেই ত্বকে ব্রণ দেখা দিতে পারে। ব্রণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু
এটি ত্বকে কালো দাগ ও ক্ষতচিহ্ন রেখে যায়। তাছাড়াও এটি অনেক সময় আমাদের
প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে।
মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ- কপালে ব্রণ হওয়ার কারণ
আমাদের ত্বক প্রতিনিয়ত ঘাম ও তেল নিঃসরণ করে ত্বকের তাপমাত্রা ও আদ্রতা বজায়
রাখার জন্য। আমাদের ত্বকের দ্বিতীয় স্তর এই তেল এবং ঘাম বের করে দেয় ত্বকের উপরের
স্তরে অবস্থিত ছোট ছোট ছিদ্র বা লোমকূপের মাধ্যমে। ত্বকের দ্বিতীয় স্তরে থাকে
সিবেসাস গ্রন্থি বা Sebaceous glands. এটি একটি তেল উৎপাদন কারী গ্রন্থি যা থেকে
সিবাম বা তেল উৎপাদন হয়।
আরো পড়ুন: ভিটামিন সি ট্যাবলেট এর উপকারিতা জেনে নিন
সিবাম হলো আমাদের ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক তেল যা আমাদের ত্বককে সুস্থ,
কোমল ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।ত্বকের জন্য সিবাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। Pores বা
লোমকূপ গুলো কখনো কখনো তেল, ব্যাকটেরিয়া, ত্বকের মৃত কোষ ও ধূলাবালির কারণে বন্ধ
হয়ে যায়। যার ফলে সিবাম গুলো ত্বকের দ্বিতীয় স্তরে জমতে থাকে এবং ফলস্বরুপ ব্রণের
সংক্রমণ দেখা দেয়। এছাড়াও ত্বকে অতিরিক্ত পরিমাণে সিবাম উৎপন্ন হলেও ব্রণের
সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়
মুখে ব্রণ হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। আমরা প্রত্যেকেই জীবনের কোনো না কোনো
পর্যায়ে ব্রণের সম্মুখীন হয়েছি। মুখে ব্রণ হওয়া খুব স্বাভাবিক ও ক্ষণস্থায়ী একটি
বিষয় হলেও এটি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করতে এবং হতাশার সৃষ্টি
করতে পারে। মুখে ব্রণ হওয়ার পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। দেহে পুষ্টির ঘাটতি
ব্রণের সংক্রমণের অন্যতম প্রধান একটি কারণ।
আমরা অনেকেই এই বিষয়টিকে উপেক্ষা করি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার
গ্রহণ করা ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য অপরিহার্য। সাধারণত, ভিটামিন ডি এর
অভাবে মুখে ব্রণ হয়। সাম্প্রতিক বিশ্বব্যাপী অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে, দেহে
ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে মুখে ব্রণ হতে পারে। আপনারা হয়তো জানেন, দেহে
ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যকারিতা কমে
যায়।
যার ফলে ব্রণ সহ ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ
করার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকারী উপায় হলো প্রতিদিন অন্তত ১০-১৫ মিনিট সরাসরি সূর্যের
আলোর সংস্পর্শে আসা। এছাড়াও ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ম্যাগনেসিয়াম,
জিংক, আয়রন এবং অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড যেমন: omega-3 এবং omega-6 এর অভাবেও
মুখে ব্রণ হতে পারে।
কি খেলে ব্রণ দূর হয়
আপনি কোন ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করেন, তার উপর নির্ভর করবে আপনার ত্বক সুস্থ
থাকবে নাকি ত্বকে ব্রণ দেখা দেবে। স্বাস্থ্যকর পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার আমাদের ত্বকের
জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার ব্রণ দূর করতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হলো কোনো খাবার খাওয়ার পরে সেটা কত
দ্রুত আমাদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় তার একটি পরিমাপক। লো গ্লাইসেমিক
ইনডেক্স যুক্ত খাবার গুলোর তালিকা দেওয়া হলো:
- টমেটো।
- গাজর।
- মিষ্টি আলু।
- পালং শাক।
- ব্লুবেরি।
- মশুর ডাল।
- মটরশুটি।
- কুমড়োর বিচি।
কোন হরমোনের কারণে ব্রণ হয়
আমাদের প্রত্যেকের দেহে বিভিন্ন হরমোন রয়েছে। হরমোন হলো একধরনের রাসায়নিক পদার্থ
যা দেহের অভ্যন্তরীণ সকল কার্য সম্পাদনে সাহায্য করে। একজন ব্যক্তির হরমোন এর
মাত্রা ঘন ঘন ওঠানামা বা কমবেশি হতে থাকলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্রণ
দেখা দিতে পারে। ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন ও টেস্টোস্টেরন হরমোন এর কারণে ব্রণ
হয়।
মহিলাদের মাসিক চক্র ও গর্ভাবস্থায় ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি হয়।
টেস্টোস্টেরন হরমোন হলো পুুরুষের প্রধান সেক্স হরমোন। এই হরমোন এর মাত্রা বৃদ্ধি
পেলে ছেলেদের ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়। দেহে হরমোন এর মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি
পেলে সিবাম এর উৎপাদন ও বৃদ্ধি পায় এবং এটি ব্যাকটেরিয়ার সাথে প্রতিক্রিয়া করে
ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ ঘটায়।
মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায়
সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার প্রাকৃতিক কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো মুখে
ব্রণের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয়
ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে একটি হলো মুখে মধু ব্যবহার করা। মধু আমাদের ত্বকের জন্য
অত্যন্ত উপকারী।
মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো
ধ্বংস করে, ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ কমায়। এছাড়াও এটি ব্রণের দাগ কমাতে ও
ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে। মধু আপনি অন্যান্য উপাদানের সাথে
মিশ্রিত করে ফেসপ্যাক ও তৈরি করতে পারবেন। চলুন মুখে মধু ব্যবহার করার নিয়মগুলো
জেনে নেওয়া যাক-
ধাপ সমূহ:
- প্রথমে আপনার মুখ খুব ভালোভাবে মাইল্ড ফেশওয়াশ বা ক্লিনজার ব্যবহার করে পরিষ্কার করে নিন।
- তারপরে আপনার হাতের তালুতে কয়েক ফোটা মধু নিন।
- আপনার আঙ্গুলের ডগা দিয়ে ব্রণ এবং আক্রান্ত স্থানে লাগান।
- এরপরে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- অবশেষে ৩০ মিনিট পরে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়- দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায়
সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানার পূর্বে আমাদের এটা জানা
জরুরী, সেনসিটিভ ত্বক আসলে কি? সেনসিটিভ ত্বকে কোন ধরনের সমস্যা বা উপসর্গ দেখা
দেয়। আমাদের প্রত্যেকের ত্বকের ধরণ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ত্বকের ধরনের উপর
ভিত্তি করে ত্বককে প্রধানত ৫ টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো-
- Normal Skin বা স্বাভাবিক ত্বক।
- Dry Skin বা শুষ্ক ত্বক।
- Oily Skin বা তৈলাক্ত ত্বক।
- Combination Skin বা মিশ্র ত্বক।
- Sensitive Skin বা সংবেদনশীল ত্বক।
সংবেদনশীল ত্বকে যেকোন ধরনের কসমেটিক পণ্য, যেমন: সাবান, ময়েশ্চারাইজার, মেকআপ
ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ সংবেদনশীল ত্বকে সব
ধরনের পণ্য মানানসই হয় না। সংবেদনশীল ত্বকের কিছু উপসর্গ হলো:
- ত্বক অতিরিক্ত পরিমাণে শুষ্ক হয়ে যায়।
- ত্বকে লালভাব বা Redness, ফোসকা দেখা দেয়।
- ত্বকে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া হয়।
- সেনসিটিভ ত্বক কসমেটিক পণ্যের সাথে বিরুপ প্রতিক্রিয়া করতে পারে।
- সেনসিটিভ ত্বকে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি থাকে।
এতক্ষণ আমরা ত্বকের ধরণ ও সেনসিটিভ ত্বকের উপসর্গ সম্পর্কে আলোচনা করলাম। তো
চলুন, সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখুন- মুখে ব্রণ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ত্বক
অপরিষ্কার অবস্থায় রাখা। আমাদের ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম বা তেল, ময়লা, ধূলাবালি,
মৃত কোষ জমে থাকে। এগুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি
হয়। যার ফলে ব্রণের সংক্রমণ দেখা দেয়।
ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন- সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার অন্যতম
উপায় হলো ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করা। অতিরিক্ত সিবাম,
মৃতকোষ, ধূলাবালির কারণে ত্বকের লোমকূপ বা Pores গুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যায় এবং
ব্রণের সৃষ্টি হয়। ক্লিনজার ব্যবহার করলে এটি ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বক পরিষ্কার
করতে সাহায্য করে।
Benzoyl peroxide ও Salicylic acid যুক্ত ক্লিনজার ব্রণের সংক্রমণ কমাতে অত্যন্ত
কার্যকারী দুটি উপাদান। Benzoyl peroxide ত্বকে ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া
ধ্বংস করে ও নতুন ব্রণের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, Salicylic acid
ত্বক এক্সফোলিয়েট করে এবং ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হওয়া প্রতিরোধ করে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন- ময়েশ্চারাইজার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে
সাহায্য করে এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে শুষ্কতা
কমানোর জন্য সিবেসাস গ্রন্থি বেশি পরিমাণে তেল (সিবাম) উৎপন্ন করে এবং অতিরিক্ত
সিবামের ফলে ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ দেখা দেয়।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন- সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের মারাত্নক ক্ষতি
করতে পারে। সূর্যের আলোতে খুব বেশি সময় অবস্থান করলে সান বার্ন হয়। গবেষণায় দেখা
গেছে সার্ন বান হলে ত্বকে অতিরিক্ত পরিমাণে তেল উৎপাদন হয় এবং ব্রণের সংক্রমণ
দেখা দেয়।
মুখে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন- অপরিষ্কার হাতে বিভিন্ন ধরনের
ব্যাকটেরিয়া থাকে। মুখে স্পর্শ করার মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া গুলো আমাদের ত্বকে
চলে আসে এবং ব্রণের সংক্রমণ দেখা দেয়। তাই চেষ্টা করবেন অপরিষ্কার হাত দিয়ে মুখ
স্পর্শ না করতে।
ব্রণ খোঁচাবেন না- অনেকেই মুখে ব্রণ দেখলে অধৈর্য্য হয়ে পড়েন এবং ব্রণটি
আঙ্গুল দিয়ে ফাটানো বা Pop করার চেষ্টা করেন। এই কাজটি ভুলেও করা যাবে না। ব্রণে
খোঁচা দিলে যেগুলো ক্ষতি হয়:
- ত্বকে প্রদাহ ও ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়।
- Pores বা লোমকূপ গুলো বন্ধ হয়ে যায়।
- ব্রণের কালো দাগ সৃষ্টি হয়।
খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনুন- এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো ত্বকে ব্রণের
সংক্রমণ বাড়াতে পারে। যেমন: বাজারের প্যাকেটজাত বা প্রসেস খাবার, চিনি জাতীয়
খাবার, অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার, ফাস্টফুড ইত্যাদি।
মানসিক চাপ কমান- অতিরিক্ত মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তার কারণেও ত্বকে ব্রণের
সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। স্ট্রেস কমাতে আপনি নামাজ, মেডিটেশন, ব্যায়াম, যোগ বা
ইয়োগা করতে পারেন।
ত্বক রুক্ষভাবে ঘষাঘষি না করা- ত্বক অনেক জোরে বা রুক্ষভাবে ঘষাঘষি করলে
এটি ত্বকের skin barrier এর ক্ষতি করে। skin barrier আমাদের ত্বককে বাইরের
বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য নরম তোয়ালে বা টিস্যুর
ব্যবহার করতে পারেন।
মাথার স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখুন- আমাদের মাথার স্ক্যাল্প বা চামড়ায় তেল
উৎপাদন হয়। নিয়মিত চুল পরিষ্কার না করলে চুলের ময়লা ও অতিরিক্ত তেল মুখে চলে আসে
এবং ব্রণের সৃষ্টি করে। তাই মাথার স্ক্যাল্প ও চুল পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরী।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের শরণাপন্ন হওয়া- সর্বশেষে সেনসিটিভ ত্বকে ব্রণের
সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ করলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা Dermatologist এর পরামর্শ
নেওয়া উচিত। তারা আপনাকে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করার নির্দেশ দিতে পারেন।
অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ ব্রণের সংক্রমণের পিছনে দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে
সাহায্য করে।
সেনসিটিভ ত্বকের ফেসওয়াশ- সেনসিটিভ ত্বকের ময়েশ্চারাইজার
যদি আপনার ত্বক সেনসিটিভ হয়ে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার জন্য মানানসই হতে পারে
CeraVe Hydrating Facial Cleanser. এর কারণ হলো CeraVe Hydrating Facial Cleanser
এ রয়েছে Glycerin, Ceramide AP, Sodium Hyaluronate এর মতো চমৎকার কিছু উপাদান যা
আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও এটি সঠিক ও কার্যকর ভাবে মেকআপ, ময়লা
ও সানস্ক্রিন ত্বক থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
সেনসিটিভ ত্বকের জন্য মানানসই বা সেরা ময়েশ্চারাইজার হতে পারে Cetaphil
Moisturizing Cream. Cetaphil Moisturizing Cream এর প্রধান উপাদান গুলো হলো:
Water, Glycerin, Petroleum, Dicaprylyl Ether, Dimethicone যা সেনসিটিভ ত্বককে
উত্যক্ত না করে খুব ভালোভাবে ত্বককে Moisturize করে বা ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আশা করছি আপনি মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ, কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ
হয়, কোন হরমোনের কারণে ব্রণ হয়, কি খেলে ব্রণ দূর হয়, মুখে ব্রণ হলে কি মাখা
উচিত ঘরোয়া উপায়, সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়- দ্রুত ব্রণ দূর করার
উপায় এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন ও উপকৃত হয়েছেন। যদি
আপনার এই ধরনের বিশ্বস্ত ও তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে ভালো লাগে, তাহলে আমাদের
ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন।
কারণ আমরা এই ধরনের আর্টিকেল নিয়মিত প্রকাশ করে থাকি। আপনার কোন পরামর্শ বা
মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়ে
থাকেন, তাহলে আপনার প্রিয়জন ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url