মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায়
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা
হবে। আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের এই
আর্টিকেলটি পড়লে আপনি মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায় গুলো সম্পর্কে
সঠিক ধারণা পাবেন।
এছাড়াও নারীদের ঘরে বসে কাজ গুলো সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে। তাই সম্পূর্ণ
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায়
- ভূমিকা
- মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায়
- ফ্রিল্যান্সিং করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- কনটেন্ট রাইটিং বা লেখালেখি করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- ফেসবুক গ্রুপ থেকে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- ভ্লগিং করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- ভিডিও এডিটিং করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- টিউশনি করিয়ে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- সেলাইয়ের কাজ করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- বিউটি পার্লার দিয়ে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- টিফিন সার্ভিস করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- গৃহপালিত পশুপাখি পালন করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- লেখকের মন্তব্য
ভূমিকা
অনেক মেয়েদের ঘরের কাজ শেষ করার পরেও তাদের হাতে বেশ কিছুটা ফ্রি সময় থাকে।
আপনি যদি মেয়ে হয়ে থাকেন, তাহলে আপনিও চাইলে আপনার ফ্রি সময়কে কাজে লাগিয়ে
বাড়তি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতির
ফলে বর্তমানে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
স্টুডেন্ট, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, বেকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষ
অনলাইনের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বা স্কিল কে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই টাকা ইনকাম
করছেন। আর ঘরে বসে টাকা রোজগারের এই সুবিধা গুলো শুধুমাত্র ছেলেদের ক্ষেত্রেই
প্রযোজ্য নয়। ছেলেদের পাশাপাশি এখন মেয়েরাও ঘরে বসে ইন্টারনেটের সাহায্যে প্রতি
মাসে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা ইনকাম করছেন এবং নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি করতে
সক্ষম হচ্ছেন।
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের মাঝেও কাজ করার
আগ্রহ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আর নারীদের ঘরে বসে কাজ করে রোজগার করার সুবিধাও
রয়েছে অনেক। আপনি পরিবারের মানুষদের সময় দেওয়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে অনলাইনে কাজ
করে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এতে আপনি আর্থিকভাবে সাবলম্বী হতে পারবেন, সেই সাথে আপনার সামাজিক মর্যাদাও
বৃদ্ধি পাবে। মূলত আজকের এই আর্টিকেলে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি
উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায়
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের বিভিন্ন সহজ উপায় রয়েছে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক,
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায় সম্পর্কেঃ
- ফ্রিল্যান্সিং করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- কনটেন্ট রাইটিং বা লেখালেখি করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- ফেসবুক গ্রুপ থেকে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- ভ্লগিং করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- ভিডিও এডিটিং করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- টিউশনি করিয়ে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- সেলাইয়ের কাজ করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- বিউটি পার্লার দিয়ে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- টিফিন সার্ভিস করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
- গৃহপালিত পশুপাখি পালন করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
ফ্রিল্যান্সিং করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
বর্তমানে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা উপায় হলো ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং
কথাটির সাথে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত। বিশেষ করে তরুণ- তরুণীদের মাঝে
অনলাইনে কাজ করার চাহিদা সবচেয়ে বেশি
দেখা যায়। বর্তমানে প্রচুর মানুষ এই ফ্রিল্যান্সিং পেশাটিকে ফুল টাইম কাজ
হিসেবে কাজ বেছে নিচ্ছেন।
আবার কেউ কেউ চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে ঘরে বসে বাড়তি টাকা আয় করছেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর এতো জনপ্রিয়তার প্রধান কারণগুলো হলোঃ
- এই সেক্টরে আপনি নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে, ঘরে বসেই চাকরির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- ফ্রিল্যান্সিং একধরনের মুক্তপেশা। তাই আপনি আপনার ইচ্ছামতো কাজের সময়, কতটুকু কাজ করবেন এবং কি পরিমাণ টাকা ডিমান্ড করবেন এই সবকিছু নির্ধারণ করার স্বাধীনতা পাবেন।
- ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম থেকে সহজেই এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
- এই খাতে প্রচুর পরিমাণে কাজ থাকে। এছাড়াও এর পরিধি ও বির্স্তৃত।
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস,
যেমন: আপওয়ার্ক, ফাইবার, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি তে একাউন্ট তৈরি করতে হবে।
তারপর কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে ক্লায়েন্ট এর সন্ধান করতে হবে। তবে প্রাথমিক
অবস্থায় এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করা একটু
কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
এর কারণ হলো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রতিযোগিতা
রয়েছে। এছাড়াও কোনো ক্লায়েন্ট ই চাইবেন না নতুন এবং অনভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে তাদের
কাজ করিয়ে নিতে। তাই আপনি যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখবেন, সেই কাজে দক্ষতা অর্জন
করা অত্যাবশ্যক। কেবল তখনই আপনি সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে রোজগার করতে
পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বেশ কিছু কাজ রয়েছে। যেমনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক
ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ডাটা এন্টি, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। আপনি
এগুলোর মধ্যে থেকে আপনার পছন্দমতো যেকোন একটি কাজ শিখে ক্যারিয়ার হিসেবে
ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন।
কনটেন্ট রাইটিং বা লেখালেখি করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায় এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো কনটেন্ট
রাইটিং বা লেখালেখি করা। বর্তমানে মেয়েদের ঘরে বসে অনলাইন বা ফ্রিল্যান্সিং
থেকে আয় করার সবচেয়ে সহজ ও ট্রেন্ডিং উপায় হলো এটি। কনটেন্ট রাইটিং বা
লেখালেখিতে মেয়েরা স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি পারদর্শী হয়ে থাকে।
এর প্রধান কারণ হলো মেয়েরা গুছিয়ে লিখতে পারে এবং তাদের ধৈর্য্যও ছেলেদের
তুলনায় অনেক বেশি। কনটেন্ট রাইটার এর বিশ্বব্যাপী ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একজন
কনটেন্ট রাইটার ঘরে বসে বিভিন্ন টপিক এর উপর কনটেন্ট লিখে টাকা আয় করে থাকেন।
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আমরা কমবেশি সকলেই স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ব্যবহার
করি।
যেকোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে আমরা গুগল সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন এর
সাহায্য নিয়ে থাকি। আমাদের মতোই আরো অসংখ্য মানুষ এই সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে
প্রতিনিয়তই বিভিন্ন বিষয়ে সার্চ করছেন। যেকোন একটি বিষয় লিখে সার্চ করার পরে
সার্চ ইঞ্জিন আমাদের যে তথ্যগুলো দেখায়, সেগুলোও কোনো না কোনো কনটেন্ট রাইটার
লিখে থাকেন।
বিভিন্ন নিউজ পত্রিকা, জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের
ক্লায়েন্টরা কনটেন্ট রাইটার দিয়ে তাদের কনটেন্ট লিখে নিয়ে থাকে। আপনি যদি
লেখালেখি করতে পারদর্শী হন তাহলে তাদের টিমে কনটেন্ট রাইটার এর জব করে
প্রতিমাসে ঘরে বসে ১৫-২০ হাজার টাকা রোজগার করতে পারবেন। যে বিষয়ে আপনার জ্ঞান
ও আগ্রহ রয়েছে, আপনি সেই বিষয়েই আর্টিকেল বা কনটেন্ট লিখতে পারেন।
হতে পারে এটি রুপচর্চা, রান্নার রেসিপি, লাইফস্টাইল, স্বাস্থ্য, শিক্ষা,
খেলাধুলা ইত্যাদি ক্যাটাগরি নিয়ে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে, যেমনঃ
ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম এ ইংরেজি ভাষার কনটেন্ট এর চাহিদা অনেক
বেশি।
তবে, আপনি চাইলে বাংলা ভাষাতেও কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করতে পারবেন। একজন দক্ষ
কনটেন্ট রাইটার হয়ে ওঠার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে অন্যদের
আর্টিকেলগুলো পড়তে হবে। নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে আর্টিকেল পড়লেঃ
- আপনার জ্ঞান সমৃদ্ধ হবে।
- আপনার শব্দভান্ডার উন্নত হবে।
- লেখার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে বা কনটেন্ট এর ভাষা মার্জিত হবে।
- আর্টিকেল লেখার নিয়ম বা পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
- খুব দ্রুত আপনার পাঠকদের আকৃষ্ট করতে পারবেন।
আপনি যদি অন্যের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লিখতে কিংবা কনটেন্ট রাইটার এর জব করতে না
চান তাহলে নিজের একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিজের আর্টিকেল গুলো
নিয়মিত পাবলিশ করে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রচুর টাকা আয় করতে
পারবেন। ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করা খুবই সহজ একটি কাজ।
আপনি চাইলে সম্পূর্ণ ফ্রিতে এখনই গুগল ব্লগার এ অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
আর আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে কনটেন্ট রাইটিং করে ঘরে বসে রোজগার করতে চান তাহলে
খুবই স্বল্প মূল্যে ডোমেইন, হোস্টিং কিনতে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। বর্তমানে
একটি টপ লেভেল ডোমেইন (.com) এর মূল্য মাত্র ১৩০০-২০০০ টাকা।
এছাড়াও আপনি আর্টিকেল লিখে সেই আর্টিকেল বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন।
ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিং প্যাসিভ ইনকামের একটি চমৎকার উৎস। সহজ ভাষায় বলতে
গেলে প্যাসিভ ইনকাম হলো এমন একটি আয় যেখানে একবার কোনো কাজ করে রেখে দিলে
পরবর্তীতে সেখান থেকে প্রতিনিয়ত আপনার ইনকাম হতেই থাকবে।
অর্থাৎ, আপনার সবসময় সেই কাজটি করার প্রয়োজনীয়তা নেই। কনটেন্ট রাইটিং এর
মাধ্যমে একবার আপনার ইনকাম শুরু হয়ে গেলে যত দিন যাবে, আপনার ইনকাম এর পরিমাণও
ততই বাড়তে থাকবে। আশা করছি, কনটেন্ট রাইটিং বা লেখালেখি করে মেয়েদের ঘরে বসে
রোজগারের উপায় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
ফেসবুক গ্রুপ থেকে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের আরো একটি সেরা উপায় উপায় হলো ফেসবুক গ্রুপ। বর্তমানে অধিকাংশ তরুণ- তরুণীরা ফেসবুকে ঘন্টার পর ঘন্টা ভিডিও দেখে, বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং এবং স্ক্রোলিং করে সময় নষ্ট করে থাকেন। ফেসবুকে এসব বাজে কাজে সময় নষ্ট না করে অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে আপনিও ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে ফেসবুকে একটি গ্রুপ তৈরি করতে হবে। তারপর আপনি চেষ্টা করবেন সেই গ্রুপটিকে কিভাবে বড় করে তোলা যায় এবং একটি কমিউনিটি তৈরি করা যায়। আমি আপনাদের রেকমেন্ড করবো আপনারা দেশের বিভিন্ন স্থানের ফুড বা খাবারের রিভিউ করতে পারেন।
বাংলাদেশের ভোজন রসিক প্রকৃতির মানুষের নতুন নতুন খাবারের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। আপনি ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় করার জন্য ফুড রিভিউ টপিক টি বেছে নিতে পারেন। ফুড রিভিউ ছাড়াও আপনি পোশাক পরিচ্ছেদ, কসমেটিক পণ্য ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলতে পারেন।
ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয় করার জন্য অবশ্যই আপনার গ্রুপে মেম্বার বা সদস্যের সংখ্যা বেশি হতে হবে। যদি আপনার ফেসবুক গ্রুপে সদস্য সংখ্যা ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার বা এর বেশি হয় তাহলে আপনি ফেসবুক গ্রুপ থেকে একাধিক উপায়ে টাকা রোজগার করতে পারবেন। আপনার ফেসবুক গ্রুপের সদস্য বাড়ানোর জন্য আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ড দের ইনভাইট করতে পারেন।
এছাড়াও আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিতদের অনুরোধ করতে পারেন তারাও যেন অন্যদের ইনভিটিশেন পাঠায়। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে যখন আপনার গ্রুপেরে সদস্য সংখ্যা ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার এর মধ্যে হয়ে যাবে, তখন আপনি বিভিন্ন ই- কমার্স পণ্য এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শব্দটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো কোনো কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের কোনো পণ্যের প্রচার- প্রচারণা ও বিক্রি করে তার বিনিময়ে কমিশন বা টাকা ইনকাম করা। বিভিন্ন ই- কমার্স ওয়েবসাইট, যেমন: Amazon, Daraz, Alibaba তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের দায়িত্ব দিয়ে থাকেন।
আপনি চাইলে আপনার ফেসবুক গ্রুপ বা পেজ এর মাধ্যমে ই- কমার্স পণ্য গুলো বিক্রি করে তার ঘরে বসে রোজগার করতে পারবেন। আশা করছি, ফেসবুক গ্রুপ থেকে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের উপায় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায়গুলো মধ্যে একটি হলো ইউটিউব চ্যানেল।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ফ্রি প্লাটফর্ম হলো ইউটিউব। বর্তমানে
বিশ্বব্যাপী ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২ কোটির ও বেশি। ইউটিউব থেকে
প্রচুর পরিমাণ টাকা আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশে এমন অসংখ্য ইউটিউবার রয়েছেন যারা
শুধুমাত্র ভিডিও আপলোড করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।
এই প্লাটফর্ম থেকে খুব সহজে এবং দ্রুত টাকা আয় করা যায়। ইউটিউব থেকে টাকা
রোজগার করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি ইউটিউব চ্যানেল এর। আপনি সম্পূর্ণ
ফ্রিতে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে খুব সহজেই একটি ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে
নিতে পারবেন। তারপর সেই চ্যানেলে আপনি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন।
আপনার পছন্দ এবং দক্ষতা অনুযায়ী যেকোনো ক্যাটাগরির ভিডিও আপলোড করুন।
উদাহরণস্বরুপ আপনি যদি রান্নাবান্নায় দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে বিভিন্ন মজাদার
রান্নার রেসিপির টিউটোরিয়াল ভিডিও ইউটিউবে আপনার চ্যানেলে আপলাড করতে পারেন।
বর্তমানে রান্নাবান্নার টপিকটি লোকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
প্রবাসী, ব্যাচেলর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ মজাদার খাবার তৈরি করার
জন্য ইউটিউবে সার্চ করেন। এছাড়াও মেয়েদের মেকআপ এবং কসমেটিক প্রোডাক্ট এর রিভিউ
নিয়ে জানার ব্যাপক আগ্রহ থাকে। আপনি চাইলে এই টপিক নিয়েও ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে
আপলোড করতে পারেন। এগুলো ছাড়াও আপনি অন্যান্য টপিক, যেমন: বিনোদন, শিক্ষামূলক,
ভ্রমণ ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন।
আপনার ভিডিও বা কনটেন্ট মানুষের পছন্দ হলে এবং উপকৃত হলে তারা আপনার ইউটিউব
চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবে। এইভাবে যখন আপনার চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার হয়ে
যাবে এবং ভিডিও গুলোতে বেশি ভিউস আসা শুরু করবে, তখন আপনি আপনার চ্যানেল
মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করবেন।
ইউটিউব থেকে মনিটাইজেশন পেয়ে গেলে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে
ভালো টাকা রোজগার করতে পারবেন। আমার মতে, মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা উপায়
হলো এটি।
ভ্লগিং করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায় এর অন্যতম একটি হলো ভ্লগিং। ভ্লগিং কি তা সম্পর্কে হয়তো অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। সহজ ভাষায় ভ্লগিং হলো নিজের মতো করে বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সহ অন্যান্য প্লাটফর্ম গুলো তে আপলোড বা শেয়ার করে টাকা ইনকাম করা।
আর বর্তমানে ভ্লগিং করে টাকা ইনকামের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলো ইউটিউব। আপনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভ্লগ ভিডিও বানিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। উদাহরণস্বরুপ, আপনি যদি ভ্রমণ করতে কিংবা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে বা বেড়াতে ভালোবাসেন তাহলে আপনার ঘুরতে যাওয়া স্থানগুলোর ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন।
এতে করে যে সকল মানুষ সেই স্থান গুলোতে কখনো ভ্রমণ করেননি, তারা আপনার ভ্লগ এর মাধ্যমে সেগুলো দেখার সুযোগ পাবেন। আপনার ভ্লগ মানুষের পছন্দ হলে আপনার ভিডিওতে বেশি ভিউস আসবে এবং আপনার সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। এইভাবে আপনি ভ্লগ বানিয়ে ইউটিউব মনিটাইজেশন থেকে ঘরে বসে টাকা রোজগার করতে পারবেন। বিশ্বজুড়ে এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছেন যারা শুধুমাত্র ভ্লগিং করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন।
ভিডিও এডিটিং করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায় গুলোর মধ্যে আরো একটি হলো ভিডিও
এডিটিং এর কাজ। আপনি ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে ভিডিও এডিটিং করে রোজগার করার জন্য আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং করে ঘরে বসে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম
করতে চাইলে আপনি ভিডিও এডিটিং এর কোর্স করতে পারেন।
জরুরী নয় ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য আপনাকে আইটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পেইড কোর্স
করতে হবে। আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের সাহায্যে ইউটিউব এর মাধ্যমে
ফ্রিতেই প্রফেশনাল লেভেলের ভিডিও এডিটিং শিখতে পারবেন। বর্তমানে ইউটিউব হলো এমন
একটি প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে আপনি চাইলে সবকিছু শিখতে পারবেন।
আপনি মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং কোর্স লিখে ইউটিউবে সার্চ করুন। সার্চ করার পরে
আপনি দেখতে পারবেন, ভিডিও এডিটিং সম্পর্কিত বিভিন্ন ভিডিও, কোর্স ও প্লে-লিস্ট
চলে আসবে। আপনি সেই ভিডিও গুলো দেখে ভিডিও এডিটিং এ দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, যেমন: ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম,
পিপল পার আওয়ার এ ভিডিও এডিটর এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও এডিটিং এর প্রয়োজন আছে
এমন লোকদের কাজ করে দিয়েও ঘরে বসে রোজগার করতে পারবেন। অন্যদের ভিডিও এডিটিং এর
কাজ করার পাশাপাশি আপনি এনিমেশন বা কার্টুন ভিডিও তৈরি করে নিজের ইউটিউব
চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন এনিমেশন এবং কার্টুন ভিডিও এর
ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
আপনি যদি ভালো কোয়ালিটির কার্টুন তৈরি করে সেটিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন এবং
আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন, তাহলে খুব দ্রুত আপনার ভিউস এবং
সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। পরবর্তীতে ইউটিউব থেকে মনিটাইজেশন পেয়ে
গেলে ইউটিউব থেকেও ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। আশা করছি, ভিডিও এডিটিং করে মেয়েদের
ঘরে বসে রোজগারের উপায় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
টিউশনি করিয়ে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো টিউশনি বা
শিক্ষকতা করা। ছাত্রজীবনে অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারের স্টুডেন্ট টিউশনি করিয়ে
তাদের লেখাপড়া এবং হাতখরচ বহন করতো। ইদানিং অভিভাবকরা বাসায় তাদের সন্তানদের
জন্য টিউটর বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন, তাহলে টিউশনি করিয়ে ঘরে বসে
টাকা রোজগার করতে পারবেন। একটা স্টুডেন্টকে বাসায় পড়ানোর জন্য আপনি প্রতি মাসে
সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। এভাবে আপনি যদি ৫-১০ টা
স্টুডেন্টকে পড়ান, তাহলে খুব সহজেই প্রতিমাসে কয়েক হাজার টাকা আয় করতে
পারবেন।
আপনি অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমেও টিউশনি করাতে পারেন। বর্তমান সময়ে
অনলাইন টিউটর বা শিক্ষকের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি জুম অ্যাপ, গুগল মিট ইত্যাদির
মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাস নিতে পারবেন। আশা করছি, টিউশনি করিয়ে মেয়েদের
ঘরে বসে রোজগারের উপায় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
সেলাইয়ের কাজ করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ও জনপ্রিয় সর্বশেষ উপায়টি হলো সেলাই বা দর্জির
কাজ করা। বর্তমানে বাংলাদেশে সেলাই বা দর্জির কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
আপনি যদি সেলাই এর কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ঘরে বসেই প্রতিমাসে ভালো
টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যারা সেলাই এর কাজ জানেন না তাদের হতাশ হওয়ার কোনো
প্রয়োজন নেই।
কিছুদিনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহজেই দর্জির কাজ শেখা সম্ভব। অন্যান্য কাজের
মতো দর্জির কাজ করেও মেয়েরা নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন। দর্জির কাজ
করার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো কিনতে হবে। যেমন: সেলাই মেশিন, কাপড়,
সুতা, কেঁচি ইত্যাদি। আপনার সেলাইয়ের কাজ শিখে গেলে অন্যের জামাকাপড় সেলাই
করার বিনিময়ে টাকা রোজগার করতে পারবেন।
এছাড়াও সেলাই এর কাজ শেখার আরো একটি বড় সুবিধা হলো আপনি নিজের জামাকাপড়
সেলাই করার জন্য আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে না। সুতরাং, মেয়েদের ঘরে বসে
রোজগারের সেরা উপায় হতে পারে এটি।
বিউটি পার্লার দিয়ে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
বর্তমানে নারীদের বিউটি পার্লার থেকে সাজ নেওয়া খুবই কমন একটি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। অনেক মেয়ে রয়েছে যারা নিজেকে আরো বেশি সুন্দর ও আর্কষণীয় দেখাতে নিয়মিত বিউটি পার্লারে গিয়ে সাজগোজ ও রুপচর্চা করে থাকেন। এই রুপচর্চার কাজটি ঘরে বসেই প্রাকৃতিক উপায়ে করা সম্ভব।
কিন্তু বিউটি পার্লারে গুলোতে এমন সাজসজ্জার উপকরণ ও পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় যা অধিকাংশ নারীদের বিউটি পার্লারের প্রতি আরো বেশি আগ্রহী করে তোলে। শহরে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাসা বাড়িতেই বিউটি পার্লার হয়ে থাকে। বর্তমানে মেয়েরা বিউটি পার্লার তৈরি করে প্রচুর পরিমাণে টাকা রোজগার করছেন।
বিউটি পার্লারের ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমেই খুব বেশি টাকা বিনিয়োগ করার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনার যদি বাজেট কম হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বাড়ির যেকোনো একটি রুম ভালোভাবে সাজিয়ে বিউটি পার্লার বানিয়ে নিতে পারেন। বিউটি পার্লার সাজানোর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে মেকআপ টেবিল, আয়না, চেয়ার ইত্যাদি।
এছাড়াও প্রয়োজনীয় সাজসজ্জার সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি, যেমন: কসমেটিকস, ফেসিয়াল মেশিন, হেয়ার স্পা মেশিন, হেয়ার রিকভারি মেশিন, হেয়ার স্ট্রেইটনার ইত্যাদি আপনাকে কিনতে হবে। বিউটি পার্লার খোলার পর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো আপনাকে আপনার বিউটি পার্লার এর অবস্থান, সার্ভিস ও সুবিধা গুলো সম্পর্কে অনলাইন এবং অফলাইনে প্রচার-প্রচারণা করতে হবে যেন মানুষ আপনার বিউটি পার্লার সম্পর্কে জানতে পারে।
আপনি সঠিকভাবে আপনার বিউটি পার্লারের প্রচার করতে পারলে আপনি বেশি বেশি কাস্টমার পাবেন। আপনি যদি আপনার কাস্টমারদের ভালো বিউটি সার্ভিস দিতে পারেন তাহলে বিয়ের অনুষ্ঠানে একজন মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন। আশা করছি, বিউটি পার্লার দিয়ে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
টিফিন সার্ভিস করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের আরেকটি সহজ উপায় হলো টিফিন সার্ভিস। আপনি যদি
রান্নাবান্নায় পারদর্শী হয়ে থাকেন এবং বিভিন্ন মজাদার আইটেম তৈরি করতে পারেন
তাহলে আপনার জন্য টিফিন সার্ভিস এর কাজটি উপযুক্ত হতে পারে। টিফিন সার্ভিস এর
কাজটি শহরে বেশি প্রচলিত। বর্তমানে শহরে এমন অনেক চাকরিজীবি মানুষ রয়েছেন যারা
বাসায় নিয়মিত খাবার তৈরি করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। যার ফলে বেশিরভাগ
ক্ষেত্রেই তারা রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার অর্ডার করে থাকেন।
মূলত এই শ্রেণীর লোকেরা টিফিন ব্যবসায়ীদের সন্ধানে থাকেন যারা তাদের বাড়িতে
সঠিক সময়ে প্রতিদিনের খাবার পৌঁছে দিতে পারবে। আপনি এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে
আপনার নিজস্ব হোম ডেলিভারী ভিত্তিক টিফিন সার্ভিস এর ব্যবসা শুরু করে ঘরে বসে
রোজগার করতে পারবেন। প্রথমদিকে টিফিন সার্ভিস এর ব্যবসাটি পরিচালনা করা আপনার
পক্ষে একটু কষ্টসাধ্য হলেও পরবর্তীতে খুব অনায়াসেই এই ব্যবসা পরিচালনা করতে
পারবেন।
গৃহপালিত পশুপাখি পালন করে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার
মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গৃহপালিত
পশুপাখি পালন করা। বর্তমানে গ্রাম কিংবা শহর উভয় স্থানেই অসংখ্য মেয়েরা
গৃহপালিত পশুপাখি পালন করে ঘরে বসেই বাড়তি টাকা রোজগার করছেন। বিশেষ করে
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন গৃহপালিত পশুপাখি, যেমন: হাঁস, মুরগি, গরু,
ছাগল, কবুতর ইত্যাদির খামার তৈরি করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছেন।
আপনি যদি পড়াশোনা কিংবা কাজের পাশাপাশি ঘরে বসে রোজগার করতে চান, তাহলে
গৃহপালিত পশুপাখি পালন করুন এবং সেগুলো বাড়তি দামে বিক্রি করে দিন। এ পদ্ধতি
অনুসরণ করে অসংখ্য বেকার ছেলে- মেয়েরা একজন সফল উদ্যোক্তা তে পরিণত হয়েছেন।
গৃহপালিত পশুপাখি ক্রয় ও পালন করার জন্য আপনার খুব বেশি টাকার দরকার হবে না।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, আশা করছি আপনি মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫ টি উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আজকের আলোচিত উপায় গুলো অবলম্বন করলে ছেলেদের
পাশাপাশি মেয়েরাও ফ্রি সময়কে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে রোজগার করতে পারবেন এবং
নিজেদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হবেন। যদি আপনার এই ধরনের বিশ্বস্ত
ও তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে ভালো লাগে, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন।
কারণ আমরা এই ধরনের আর্টিকেল নিয়মিত প্রকাশ করে থাকি। আপনার কোন পরামর্শ বা
মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়ে
থাকেন, তাহলে আপনার প্রিয়জন ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url